যন্ত্রণার নীল থেকে
-চ্যাটার্জী অমল
মানিয়ে নিতে নিতে আর মানসম্মত রইলো না
আত্মসম্মান, দিনে দিনে অস্তিত্বের টানাপোড়েনে
বুকের উঠানে জারি হলো বিলাপ আর দীর্ঘশ্বাস…
দিনগুজরানে ক্লান্ত, অবসন্ন হৃদয় আচ্ছন্ন বুনো গন্ধে,
একাকীত্বের মায়াবী প্রহরে বেলা অনেকটাই
গড়িয়েছে, প্রতিদিন একটু একটু করে পুড়তে পুড়তে
দিগন্তের দড়ি প্রায় ছুঁই ছুঁই, সমস্ত তার কেটে কেটে
কেটে কেটে সকল সৌন্দর্য হারিয়ে অলস শরীরটা
এগিয়ে চলেছে অন্তিম শয়ানের দিকে পিছুটানহীন ভাবে ।
মাঠের একছত্র দখল নিয়েই ছল আর বলের
গুপ্তদ্বার লড়াই, লালসার তোড়ে ঘরময় ভনভন
করছে যত চিৎকার, চেঁচামেচি,শোরগোল, বোধের
বিভাজনে বেহেশতের পাখির মতো কণ্ঠ উঁচিয়ে নৃত্য
করছে বর্ণমালায়। কে পাবে সীমানাবিহীন মালিকানা
আর কার রক্তের খোঁজে শরীর ছোঁবে ফেরাউনের
বর্শা। দেমাকে মটমটে ইচ্ছেগুলো বোঝে না ক্ষণিকের
অতিথি আমরা, বিনা কসরতে একলপ্তে পেতে চায়
বটুয়া ভরা সুবর্ণদ্বীপ।
আসলে অল্পতেই আমরা অসহিষ্ণু, বুঝিয়ে দিলেও
কিছুতেই বুঝিনা সমঝদার না হলে সমঝোতা স্মারক
হয়ে উঁকি দেয় পলেস্তারা খসা দেওয়ালে।
আপাতদৃষ্টিতে যোগান ও চাহিদা আনুপাতিক না
হলেই ধূপ জ্বেলে গঙ্গাজল ছিটিয়ে বে-আব্রু হয়
কালোবাজারি।।